আপনি যদি ভালো ইংরেজি জানা হয়ে থাকেন, তবে অনলাইনে আর্টিকেল লিখে আয় করা কোন ব্যাপারই নয়।
আজকাল অনেকেই অনলাইনে ব্লগ খুলে আর্টিকেল লিখে ভালো আয় করে যাচ্ছেন। তবে শুধু ইংরেজিতেই নয়, আপনি চাইলে আপনার মাতৃভাষার মাধ্যমেও ব্লগে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন।
তবে আপনি যদি ব্লগে আর্টিকেল লিখে আয় করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন, এর সম্বন্ধে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে।
ব্লগ কাহাকে বলে?
আপনি ব্লগে আর্টিকেল লিখতে চান, কিন্তু ব্লগ, ব্লগার কি তা জানেন না, তা তো হয়না!
চলুন জেনে নেই।
ব্লগ কি? ব্লগ শব্দটি আগের weblog থেকে এসেছে।
blog মানে যেখানে কিছু লেখা, পরিচালনা ইত্যাদি করা হয়। blog হতে পারে কোন কিছু লেখার স্থান, blog হতে পারে কোন ডায়েরি কিংবা খাতা, বই, কম্পিউটার এমন কি মোবাইল ইত্যাদি।
Blogger. কি? যে বা যিনি কোন ডায়েরিতে, বইতে, কম্পিউটারে, মোবাইলে কিংবা খাতায় ইন্টারনেটে কিছু লিখেন, প্রকাশ করেন কিংবা পরিচালনা করে থাকেন, তিনিই blogger. ব্লগে শুধু কিছু লিখাই নয়, লিখার পাশাপাশি কোন অডিও বা ভিডিও বার্তাও প্রচার কিংবা প্রকাশ করা যায়।
কেন ব্লগে লিখবো?
ব্লগে আপনি আপনার কোন লেখা কিংবা প্রতিভা মুহুর্তেই সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন। আপনার পরিচিতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন। শুধু তাই নয়, আপনি আপনার ব্লগে ভালো কোন আর্টিকেল লিখে অর্থ উপার্জন করতেও সক্ষম হবেন। আপনার হাতে যদি কিছু সময় থেকে থাকে তবে আপনি ব্লগে আর্টিকেল লিখে ভালো আয় করে যেতে পারবেন।
কি আর্টিকেল লিখবো?
আপনি আপনার ব্লগে যে কোন ধরনের আর্টিকেল লিখে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে যে বিষয়ের উপর আপনার পুরাপুরি দক্ষতা আছে বলে মনে করেন, সেই বিষয়ের উপরই লিখতে পারেন। এর কোন ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। মনে রাখতে হবে যে, কোন অস্পষ্ট ধারণা থাকা বিষয়ের উপর ব্লগ না লেখাই ভালো। এতে কাজের কাজ কিছুই হবে না। ব্লগে আপনি লিখতে পারেন, আইটি বেজড কিছু, টেকনিক্যাল এনালাইসিস, মোবাইল টেকনোলজি কিংবা কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি নিয়ে।
চাইলে অন্য যে কোন বিষয়ের উপরই লিখতে পারেন। তবে আপনার লেখা হতে হবে অত্যান্ত মানসম্মত আর আকর্ষণীয়। তা না হলে, আপনার ব্লগের লেখাটি কেও পড়তে আগ্রহী হবেন না আর আপনি যথাযথ ভিউ পাবেন না। ভিউ না পেলে আপনি রেংকিং এ অনেক পিছিয়ে যাবেন। আপনার মনোবল হারিয়ে ফেলতে পারেন।
আপনাকে ব্লগে লিখতে হলে, প্রথমেই এমন একটা আর্টিকেল নির্বাচন করতে হবে, যা হবে আধুনিক ধ্যান-ধারণার সাথে মানানসই। অনলাইনে আপনার মত অনেকেই হয়তো লিখে থাকতে পারেন, যদি আপনার লেখাটি তাদের থেকে একটু বৈচিত্রপুর্ন মনে না হয়, তবে আপনার লেখা কারও দৃষ্টি আকর্ষণ করবে না। তাই যে বিষয়ের উপর আপনার অনেক পারদর্শিতা রয়েছে, সেই বিষয়ের উপরই কেবল লিখুন।
আপনার লেখার শিরোনাম দিন।
যে বিষয়ের উপর আপনি লিখতে যাচ্ছেন, তার একটা আকর্ষনীয় আর সুন্দর শিরোনাম দিন। শিরোনাম বা হেডলাইন যদি ভালো হয়, তবে শিরোনাম পড়েই অনেকে আপনার লেখার বাকী অংশ গুলো পড়তে আগ্রহী হবেন। আর আপনি অনেক ভিউ পেয়ে যাবেন। বেশী ভিউ পেলে আপনার অর্থ উপার্জনের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।
এবার আপনার আর্টিকেলের বিবরন লিখুন।
যথাযথ শিরোনামের পর আপনার আর্টিকেলের বিবরণ দিতে হবে। যেখানে সুন্দর আর সাবলীল ভাষায় আপনাকে মুল বিষয়ের অবতারনা করতে হবে। বিবরণ এমন ভাবে লিখুন, যাতে কয়েকলাইন পড়েই বাকী অংশ গুলো পড়তে অনেক আগ্রহী হয়ে উঠেন পাঠকরা।
রচনা আকারে বিবরণ লেখা থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে হেডলাইন দিয়ে ছোট ছোট প্যারা বা অংশে ভাগ করে লিখুন।
bloggers. com
আপনার লেখা bloggers. com এর নির্বাচিত ব্লগে post করুন। bloggers. com হলো অনলাইনে blog এ আর্টিকেল লিখে অর্থ উপার্জন করার একটি প্লাটফর্ম। আর এই প্লাটফর্ম এর অন্যতম ধারক হলো Google adsense. Google adsense আপনার আর্টিকেল মানসম্মত হলে, সেখানে advertising করে আপনার জন্য অর্থ উপার্জন করা সহজ করে দেবে। এটা গুগলের adsense হওয়ায়, Google adsense শতভাগ নির্ভরযোগ্য আর বিশ্বস্ত।
Google adsense মুলত আপনার কোয়ালিটি আর্টিকেল এর সাথে বিজ্ঞাপন জুড়ে দিয়ে বিজ্ঞাপনদাতার কাছ থেকে অর্থ আহরন করে সিংহভাগই আপনাকে দিয়ে দেবে। Google adsense একটি বিশ্বস্ত, সার্বজনীন আর আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন প্রচার মাধ্যম।
সবকিছু ঠিক থাকলে, আপনি আপনার আর্টিকেল লিখে আর তার সাথে Google adsense যুক্ত করে অনলাইনে অর্থ উপার্জনে সক্ষমতা অর্জন করবেন। তবে আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আপনার আর্টিকেলটি যেন অবশ্যই ১৫০০ বা তার চেয়ে বেশী শব্দের হয়ে থাকে। কারণ বেশী ছোট লেখা পাঠক পায়না।
আপনার ব্লগে লেখা আর্টিকেলটি যেন অনেক ধরনের শিক্ষনীয় উপাদানে তৈরি হয়। যেমন ধরুন যদি আপনি কম্পিউটার সম্পর্কে কোন আর্টিকেল লিখার ইচ্ছে পোষন করে থাকেন, আর সাথে নেটওয়ার্ক নিয়ে আলোকপাত করতে চান আপনার আর্টিকেলে, তবে তার প্রথমেই একটি সুন্দর শিরোনাম দিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখতে হবে যে, শিরোনামটি যেন অবশ্যই আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।
আমি একটু উদাহরণ টেনে বুঝাতে চাই। যেমন -
শিরোনাম।
কম্পিউটার ও ওয়্যারলেস যোগাযোগ ব্যবস্থা।
কম্পিউটার কি? কম্পিউটার হলো গ্রীক শব্দ compute এর বর্ধিত রুপ। এই compute এর আভিধানিক অর্থ হলো গননা বা হিসাব কারি যন্ত্র কিংবা ডিভাইস।
আবিস্কারের প্রথম দিকে এই কম্পিউটার ছিল এক বিশাল আকৃতির। প্রায় ঘরের একটি রুমের সমান। কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনা করে সময়ের বিবর্তনের সাথে পাল্লা দিয়ে কম্পিউটারের আকারে এসেছে পরিবর্তন। সহজে বহনযোগ্য করতে এটার আকার অনেক ছোট কিন্তু কার্যকারিতায় আনা হয়েছে অনেক বৈচিত্র।
কম্পিউটারের প্রকারভেদ।
ব্যবহারিক জীবনে অনেক ধরনের কম্পিউটার দেখা যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো -
১। পার্সোনাল কম্পিউটার।
২। ডেস্কটপ কম্পিউটার।
৩। ল্যাপটপ কম্পিউটার।
৪। নেটবুক কম্পিউটার ও
৫। নোটবুক কম্পিউটার ইত্যাদি।
মানুষের জীবনে আজকাল কম্পিউটারের গুরুত্ব অনেক বেশী। আগে যা ছিলো কল্পনারও অতীত, বিজ্ঞানের কল্যাণে এখন তাই বাস্তব। বিস্ময়কর আধুনিক আবিস্কারের মধ্যে কম্পিউটার অন্যতম একটি।
কম্পিউটার তথ্য আদান-প্রদান করে, তথ্য প্রক্রিয়াকরন করে, প্রকাশ করে আর ভবিষ্যতের জন্য তা সংরক্ষণও করতে পারে। তবে কম্পিউটার নিজে নিজে কিছুই করতে পারে না। এটা হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, সিলিকন দিয়ে তৈরি। কীবোর্ড, মাউসের সাহায্যে একে কমান্ড দিলে, সেই কমান্ড অনুযায়ী কম্পিউটার খুব নিখুঁত আর তথ্যনির্ভর ফলাফল প্রকাশ করে।
কম্পিউটার বাইনারী ডিজিটের সাহায্যে পরিচালিত হয়। সহজেই কম্পিউটার ০ আর ১ সংখ্যা চিনে নিতে পারে। এই সংখ্যা দ্বয় বাইনারী ডিজিটের অন্তর্ভুক্ত। দশমিক ডিজিটে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরিচালনায় সমস্যা হয় অনেক সময়। তবে যে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস বাইনারী ডিজিটে ভালো কাজ করতে পারে।
কম্পিউটারের কাজ।
কম্পিউটার নিজে নিজে কোন কাজ করেনা তা আগেই উল্লেখ করেছি। মানুষ একে যতটা স্মৃতি, দিয়ে তৈরি করবে, ঠিক ততটাই কাজ করতে পারবে। মানুষ যদি কম্পিউটারে ইনপুট দিতে ভুল না করে, তবে কম্পিউটার সবসময়ই নির্ভুল ফলাফল প্রকাশ করতে সক্ষম। কম্পিউটার তথ্য গ্রহণ করে, আদান-প্রদান করে, ফলাফল প্রকাশ করে আর ভবিষ্যতের জন্য তা সংরক্ষণ করে। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে ইন্টারনেট কানেকশন থাকা কম্পিউটার বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস এর সাথে মুহূর্তেই সংযোগ স্থাপন করা যায়। কম্পিউটারে যোগাযোগ স্থাপন সহ যে কোন রকম অফিসিয়াল কিংবা ব্যবসা বানিজ্যের কাজ করা যায়। ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারে কম্পিউটারের কোন তুলনা হয় না। কম্পিউটার বিনোদনেরও একটি উৎস।
কম্পিউটারের অসুবিধা।
আকারে বড় হওয়ায় ডেস্কটপ কম্পিউটার সহজে বহন করা যায় না। বাহিরে কিংবা চলার পথে একে নেটভুক্ত করা খুবই অসুবিধা জনক।
অনেক সময় কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এর কমান্ড কাজ করে না। কিংবা ভুল ফলাফল প্রকাশ করে। কম্পিউটার ভাইরাস এর সিস্টেমকে অচল করে দেয়। ফলে সংরক্ষিত তথ্য হারানোর ভয় থাকে এবং গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডিলিট হয়ে যেতে পারে। তাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কম্পিউটারে ধারণ করে রাখাও অনেকটা ঝুঁকিপুর্ন হয়ে যায়।
কম্পিউটার এন্টিভাইরাস।
আক্রান্ত কম্পিউটারকে বিশেষ এন্টিভাইরাস চালনার মাধ্যমে একে অবশ্য ভাইরাস মুক্ত করা যায়। তবে বারংবারই একটি কম্পিউটার ভাইরাসের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক।
কম্পিউটারে মুলত তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কে প্রধানত রেডিও ওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সী ব্যবহার করা হয়। রেডিও ওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সীর অনেক সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। এই ফ্রিকোয়েন্সী বিল্ডিংকেও ভেদ করে এর চলাচল অব্যাহত রাখতে পারে।
কম্পিউটার মুলত ডিজিটাল সংকেত আদান-প্রদান করে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে এই ডিজিটাল সংকেতকে এনালগ আর এনালগ সংকেতকে ডিজিটাল সংকেতে রুপান্তরের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। তখন কম্পিউটারে পৃথক একটা ডিভাইস সংযোজন করতে হয়। মডেম নামের ডিভাইসের মাধ্যমে সংকেতকে রুপান্তর করা হয়।
নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি।
কম্পিউটারে বিশেষ ভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন সরবরাহ করা হয়। এটা রাউটার আর মডেম দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশন প্রাপ্ত হয়ে থাকে। অনেক কম্পিউটারে বিল্ট ইন কানেকশন বিদ্যমান থাকে। ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেমে তারহীন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী শক্তি কিংবা শব্দশক্তি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী, মাইক্রওয়েভ ককমিউনিকেশন কিংবা ইনফ্রারেড কমিউনিকেশন ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন এর সুবিধা।
প্রথাগত তার যোগাযোগ ব্যবস্থার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারের সাহায্যে যোগাযোগের সীমাবদ্ধতা তারহীন যোগাযোগের মাধ্যমে নেই। অনেক ক্ষেত্রে তারের সাহায্যে স্বাভাবিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান রাখা শুধু কষ্ট সাধ্যই নয়, ব্যায়বহুলও বটে। ওয়্যারলেস সিস্টেম সেই সমস্যা দূরীভূত করেছে।
উপসংহার।
কম্পিউটার বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের অন্যতম একটি মাধ্যম। আগে যা ছিল মানুষের কল্পনারও অতীত, বর্তমানে কম্পিউটার সেটাকে বাস্তবে রুপ দিয়েছে। তাই তো কম্পিউটার ছাড়া এক মুহূর্ত চলার কোন উপায় নেই।